অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী অন্য নামে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়ে থাকলে পাঁচ কমিশনার বসে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এর আগে শহীদ সন্তানদের সংগঠন ‘প্রজন্ম ৭১’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে জামায়াত সংশ্লিষ্টদের কোনো দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবি জানায়।
তিনি বলেন, ‘জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নতুন নামে নিবন্ধন চাইলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আইনে কোনো নির্দেশনা থাকলে আমরা পাঁচ কমিশনার বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ আদালতের আদেশে জামায়াতের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছিল।’
স্মারকলিপির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘স্মারকলিপিতে কী আছে সে বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা নেই। আমরা এটুকু জানি, আইনে নির্দিষ্ট শর্ত আছে। এই শর্তগুলো পূরণ করলেই কেবল কোনো দল নিবন্ধন পায়। জামায়াত অন্য আদলে আসছে কি না তা আগে প্রমাণ হোক, তারপর আমরা পাঁচ কমিশনার বসে সিদ্ধান্ত নেবো।’
নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করলে জামায়াত সংশ্লিষ্টদের নিবন্ধন পেতে বাধা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াত নিষিদ্ধ পার্টি। যেহেতু নিবন্ধন নেই, নির্বাচনে তারা আসতে পারবে না। এখন নতুন করে তারা কীভাবে আসছে না আসতে চাইছে এগুলো খতিয়ে না দেখে বলা যাবে না। আইনের মধ্যে যদি থাকে, আর যদি না থাকে তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আগাম মন্তব্য করার জায়গা নেই।’
জামায়াতে ইসলামীর অন্য নামে নিবন্ধন চাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ সাপেক্ষ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশে ডেভেলপমেন্ট পার্টির আবেদনকে অন্যরা বলছেন জামায়াতের অন্য নামে আবেদন। এটা তো প্রমাণের বিষয়। যাচাইবাছাই শেষে বলা যাবে।’
‘আমরা কেবল এই একটি দল নয়, ৯৩টি দলের ব্যাপারেই যাচাই-বছাইয়ে যতখানি আইনি কঠামো আছে পুরোটাই দেখবো। গঠনতন্ত্র যাচাই করেই নিবন্ধন দেওয়া হবে।’
Leave a Reply